📣চলছে প্রো-অফার!!! ইশিখন.কম দিচ্ছে সকল অনলাইন-অফলাইন কোর্সে সর্বোচ্চ ৬০% পর্যন্ত ছাড়! বিস্তারিত

Pay with:

এইচএসসি বাংলা ২য়পত্র ব্যাকরণ : বাচ্য

বাচ্য

এটা অনেকেরই চিন্তার বা বলা ভালো দুঃশ্চিন্তার কারন । তাই এবার আমরা ৫ টি পর্বের মাধ্যমে ধীরে ধীরে সহজ , সাবলীল অথচ নির্ভুল ইংরাজি ভয়েস চেঞ্জ গ্রামার  লেখার জন্য প্রয়োজনীয় রসদ নিয়ে ধীরে ধীরে আলোচনা করব –

A boy beats a drum .  এটা একটা সাধারন  সরল বাক্য ।

এবার যদি বলা হয় – এই বাক্যটার  VOICE CHANGE , বা   বাচ্য পরিবর্তন করতে হবে । আরে এট নিয়ে ভাবার কি আছে – সেই ছোট বেলা থেকে শিখে আসছি – বাচ্য পরিবর্তন করতে গেলে  কর্তা কে কর্ম আর কর্ম কে কর্তা চেঞ্জ করে দিলেই কাজ কাবার । ঠিক আছে সাব্জেক্ট বা কর্তা আর অব্জেক্ট বা কর্মের মধ্যে স্থান বিনিময় করে দিয়ে দেখি তো কি হয় ।

A drum beats a boy !   মানে ~ মানে আবার কি – দেখেই নাও মানে টা কি দাঁ ড়ায়

ছি ছি ছি ! একেবারে গ্রামার গুলি সব ভূল মেরে দিয়েছি । তাই আবার বই খুলে দেখলাম –

 একটি       ছেলে    একটি ড্রাম    বাজায় –           এটা কতৃ বাচ্য

একটি ড্রাম   বাজানো হয় একটি ছেলের দ্বারা —-       এটা কর্ম বাচ্য

অর্থাৎ     ভার্ব বা ক্রিয়ার পরিবর্তন যেটা  আসল সেটাই আমি ভূল মেরে বসে আছি ।  ছিল   beats  ,  হবে      is  beaten

দেখছো  না  voice  চেঞ্জ টা আমাকে  আর এক বার রিভিশন দিতেই হবে , আপনারাও আমার সঙ্গে দ্রুত আর এক বার রিভিশন দিয়ে নেন । কারন ? কারন = ইংরাজিতে দুই কলম লেখতে গেলে  TENSE  আর  VOICE  ছাড়া এক পাও চলতে পারবেন না

Voice Change 

ভয়েস চেঞ্জ বাচ্য পরিবর্তন আমরা কম বেশী সবাই পড়েছি । কারো কাছে এটি জলের মত সহজ বা কারো কাছে এটা বেশ জটিল মনে হতেই পারে ।  আমি একটু অন্য আঙ্গেল থেকে বিষয়টি ভাবার কথা বলব । রিপোর্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে এর সব থেকে বেশী ব্যবহারিক প্রয়োগ আমরা দেখতে পাই । আমারা যারা মনে করি ইংরাজি লেখার দক্ষতা কিভাবে তৈরী করব তাদের কাছে আমার পর পর কয়েকটা পরামর্শ –

১ । প্রথমেই খুব জটিল ভাবে না ভেবে – একদম সরল ভাবে বেসিক কয়েকটা জিনিস শিখে নিন  যার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ।টেন্স ও ভয়েস । রাতারাতি যদি মনে করেন ইংরাজি গ্রামার এর সব অংশ  পুরো পুরি শিখে তারপর -রাইটিং স্কিলে প্রবেশ করব । সেটা ঠিক নয় বরং আমার সাজেশন হল ইংরাজি গ্রামারের বেসিক  দুইটি ধাপ – টেন্স ও ভয়েস শিখে নেওয়ার পর পরই আপনারা – ছোট ছোট প্যরাগ্রাফ বা ছোট ছোট রিপোর্টিং লিখতে সক্ষম হবেন । এর পর গ্রামারের অন্যান্য খুটি নাটি টিপস , এরর শিখে নিলেই আর ভাল ভাবে নিখুত অথচ নির্ভুল ও সিম্পল কম্পজিসন গুলি লিখতে পারবেন ।

২। তাই আমার পরামর্শ টেন্স ও ভয়েস এর একদম প্রিলিমিনারি কিছু বেসিক্স শিখে নিয়েই শুরু করে দিন ছোট ছোট কম্পোজিসন লিখতে , হোক না একটু আধটু ভুল । সাহস করে এগিয়ে যেতেই হবে । তাহলেই এক মাস এর মধ্যেই দেখবেন অনেকটা শিখে ফেলতে পারবেন ।

৩। যারা মনে করছেন এই বেসিক জিনিস গুলা মোটামুটি তাদের রপ্ত আছে তারা সরা সরি আমার ২য় সাজেশন মত একটু একটু করে লিখতে শুরু করেন

৪। ইংরাজি দুর্বলতার মূল কারন হল । ইন্রাজি সমন্ধে আমাদের ভীতি । এতাকে দূর করতেই হবে । আর এটা দূর করার একমাত্র সহজ পথ প্রতিদিন একটু একটু করে কিছু না কিছু কম্পোজিসন লিখুন । হোক না একটু আধটু ভূল – সাহস করে এগিয়ে যান ।  একটা ছোট্ট উদাহরন দিয়ে বিষয় টিকে পরিষ্কার কজরে দিই – যদি আপনাকে দুম করে বলা হয় গত কালকে ঘটে  যাওয়া ভঙ্কর অগ্নিকান্ডের উপর ইংরাজিতে একটি ১৫০ ওয়ার্ডের নিউজ পেপার রিপোর্ট লিখুন । আমাদের অনেকেই হয়ত সমস্যায় পড়ব । আকাশ পাতাল  ভাবতে শুরু করব ! দু চার লাইন এগিয়ে গিয়েই হয়ত কলম থমকে যাবে । কিন্তু যদি বলা হয় গত রাত্রের ঐ অগ্নি কান্ডের উপরে আপনি আপনার মাতৃ ভাষায় ১০ -১২ টি  বাক্য লিখুন ৯০ % নয় , ১০০ %  লোকই কিন্তু প্রায় নির্ভুল ভাবে লিখতে সক্ষম হবেন । তাই আমার সাজেশন  ইংরাজি থেকে ইংরাজি নয় , নিজের ভাষা থেকে অর্থাৎ বাংলা থেকে সহজে ইংরাজি লিখতে শিখুন ।

৬। আর সময় পেলেই নিজের ছোট ছোট ভাই বোনেদের বই  থেকে বাচ্চাদের জন্য যে ছোট ছোট গল্প থাকে সেগুলিকে নিয়ে বাংলা থেকে  ইংরেজীতে ট্রান্সলেট করা অভ্যেস কর । লজ্জা পেলে চলবে না । আমার মতে ইংরাজি লেখার মহৌষধ হল  ছোট ছোট করে ৫-৬ লাইনের গল্পগুলি ট্রান্সলেশন করা । এর থেকে আর ভালো পথ আর কিছু নাই ।

৫। তাই আমার সাজেশন হল – ক্লজ, জিরান্ড, কমপ্লেক্স, কম্পাউণ্ড পরে হবে , আগে জাস্ট টেনস ও ভয়েস শিখে নিলেই -যদি মনে করেন একদম সরল ইংরাজি লিখব , গ্যারান্টি দিয়ে বলছি – আপনি ৮০ শতাংশ সফল ভাবে ই লিখতে সক্ষম হবেন । সেটাই বা কম কিসের ? আর বাকি থাকে অলঙ্করন , ভোকাবুলারি রিপ্লেস করে কিছু সুন্দর সুন্দর শব্দ ঢুকিয়ে আপনার লেখা বা কম্পোজিসন কে আরো আকর্ষনীয় করে তোলার কাজ । সেই বাকি ২০ % কাজ না হয় পরেই শেখা যাবে । আগে তো সাহস করে আমার সাথে চলুন শুরু করি । আমি কথা দিচ্ছি  এই ভাবে অভ্যাস করলেই এক মাসের মধেই আপনি ছোট ছোট  ইংরাজিতে কম্পজিসন নিখুত ও নির্ভূল ভাবে লিখতে সফল হবেন । আসুন শুরু করা যাক । আজকে আমরা শিখব – ভয়েস বা বাচ্য । অবশ্য এটা শেখার আগে টেন্স টা ভালো ভাবে একবার ঝালিয়ে নেবেন । আমি টেন্স দিয়েই শুরু করতে পারতাম । কিন্তু তাতে আরো বেশী সময় লেগে যাবে , তাই ধরে নিচ্ছি আপনারা টেন্স অংশ টা  মোটামুটি জানেন – তার পরের অংশ শুরু করার পালা । তবে একেবারেই যারা ভূলে গিয়েছেন আমি ভয়েস শেখানোর পাশে পাশে একটু একটু করে টেন্স টাও ব্রাশ আপ করে দেব ।

৬। আজকের এই লেসনের শেষে আমি যেরুপ কথা দিয়ে ছিলাম- কারো সাহায্য ছাড়াই আপনারা ই দেখবেন অন্তত ১৫০-২০০ ওয়ার্ডের ছোট ছোট কম্পোজিসন দেখবেন নিজেরাই লিখতে পারছেন ।
ওক্কে!  আর কথা নয় সরা সরি কাজে প্রবেশ করছি –

 

বাচ্য পড়তে যে বিষয়েগুলো জানা জরুরি-

  • ক্রিয়াপদ
  • বাচ্য
  • কর্তা
  • কর্ম
  • কর্তৃবাচ্য
  • কর্মবাচ্য
  • ভাববাচ্য
  • কর্মকর্তৃবাচ্য

বাচ্য : বাক্যের বিভিন্ন ধরনের প্রকাশভঙ্গিকে বাচ্য বলে।

একটি বাক্যকে বিভিন্নভাবে লেখা যেতে পারে। একেকভাবে লিখলে বাক্যটির মূল বক্তব্য একই থাকলেও, একেকবার একেকটি উপাদান অধিক প্রাধান্য পায়। একটি বাক্যের বিভিন্ন প্রকাশভঙ্গিকেই বলে বাচ্য।

বাংলা ভাষায় ৩টি বাচ্য পাওয়া যায়- কর্তৃবাচ্য, কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্য।

[বিভিন্ন ধরনের বাচ্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার আগে বাক্যের কর্তা ও কর্ম সম্পর্কে ভালোভাবে জানা দরকার।

কর্তা : যেই পদ বাক্যের ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে কর্তা বলে।

অর্থাৎ, যে বাক্যের কাজটি করে, সে-ই কর্তা। যেমন-

গরু ঘাস খায়। এখানে খাওয়ার কাজটি করছে ‘গরু’।- সুতরাং, এখানে ‘গরু’ কর্তা।

টেবিলটি সকাল থেকে এরকম নড়বড় করছে।- এখানে ‘নড়বড় করা’র কাজটি করছে ‘টেবিল’। সুতরাং, এখানে কর্তা ‘টেবিল’।

ক্রিয়াকে ‘কে/কারা‘ দিয়ে প্রশ্ন করলে কর্তা পদ পাওয়া যায়।

কর্ম : কর্তা যাকে আশ্রয় করে বা অবলম্বন করে ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে কর্ম বলে।

অর্থাৎ, কর্তা যার সাহায্যে কাজটি করে, তাই কর্ম। যেমন-

গরু ঘাষ খায়।- এখানে ‘গরু’ ‘খাওয়া’র কাজটি করার জন্য ‘ঘাস’কে অবলম্বন হিসেবে নিয়েছে। সে ‘ঘাস’কে দিয়ে ‘খাওয়া’র কাজ করছে। সুতরাং, এখানে ‘ঘাস’ কর্ম।

বাবা আমাকে ল্যাপটপ কিনে দিয়েছেন।- এখানে ‘কিনে দেয়া’র কাজটি করেছেন ‘বাবা’। ‘বাবা’ এখানে কর্তা। ‘বাবা’ ‘কিনে দেয়া’র কাজ করার জন্য ‘আমাকে’ ও ‘ল্যাপটপ’-র সাহায্য নিয়েছেন। এখানে, ‘আমাকে’ ও ‘ল্যাপটপ’ কর্ম।

ক্রিয়াকে ‘কী/ কাকে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে কর্তা পদ পাওয়া যায়।]

কর্তৃবাচ্য : বাক্যে কর্তার প্রাধান্য রক্ষিত হলে তাকে কর্তৃবাচ্য বলে। এ ধরনের বাক্যে কর্তা অনুযায়ী ক্রিয়াপদ ব্যবহৃত হয় এবং ক্রিয়া কর্তার অনুসারী হয়।

কর্তৃবাচ্যের পদে কর্তায়- শূণ্য বিভক্তি হয়।

কর্মে- দ্বিতীয়া বা ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। (শূণ্য বিভক্তিও হতে পারে)

যেমন-

ছাত্ররা বাংলা পড়ছে।

শিক্ষক ছাত্রদের পড়ান।

রোগী পথ্য সেবন করে।

কর্মবাচ্য : কর্মপদ প্রধান রূপে প্রকাশিত হলে তাকে কর্মবাচ্য বলে। এ ধরনের বাক্যে ক্রিয়াপদ কর্তা অনুযায়ী না হয়ে কর্মপদ অনুযায়ী হয় এবং কর্মপদের অনুসারী হয়।

এ ধরনের বাক্যে কর্তায়- তৃতীয়া বিভক্তি হয়।

কর্মে- শূণ্য বিভক্তি হয়। (কখনো কখনো দ্বিতীয়া বিভক্তিও হয়)

যেমন-

শিকারি কর্তৃক বাঘটি নিহত হয়েছে।

আলেকজান্ডার কর্তৃক পারস্য বিজিত হয়।

চোরটা ধরা পড়েছে।

আসামিকে জরিমানা করা হয়েছে। (কর্মে দ্বিতীয়া বিভক্তি)

ভাববাচ্য : বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে প্রকাশিত হলে তাকে ভাববাচ্য বলে। এ ধরনের বাক্যে কর্ম থাকে না এবং কর্তাও প্রধান হয় না। কাউকে কোন কিছু সরাসরি না বলে ঘুরিয়ে বলতে গেলে ভাববাচ্যে বলা যায়।

এ ধরনের বাক্যে কর্তায়- ষষ্ঠী, দ্বিতীয়া বা তৃতীয়া বিভক্তি হয়।

নামপুরুষের ক্রিয়াপদ [ক্রিয়াপদ] হয়।

মাঝে মাঝে মূল ক্রিয়াপদের সঙ্গে সহযোগী ক্রিয়াপদও যুক্ত হয়।

কখনো কখনো কর্তা উহ্য থাকে, অর্থাৎ কর্তা অনুল্লেখিত থাকে।

যেমন-

আমার খাওয়া হল না। (নামপুরুষের ক্রিয়াপদ)

তোমার যাওয়া হবে না। (নামপুরুষের ক্রিয়াপদ)

এ পথে চলা যায় না। (সহযোগী ক্রিয়াপদ যুক্ত)

কোথা থেকে আসা হচ্ছে। (সহযোগী ক্রিয়াপদ যুক্ত)

এ ব্যাপারে আমাকে দায়ী করা চলে না। (কর্তা ‘তুমি’ উহ্য)

এ রাস্তা আমার চেনা নেই।

কর্মকর্তৃবাচ্য : এছাড়াও বাংলায় আরো এক ধরনের প্রকাশভঙ্গির বাক্য দেখা যায়। এ ধরনের বাক্যের বাচ্যকে বলা হয় কর্মকর্তৃবাচ্য।

এ ধরনের বাক্যে কর্তাপদ উহ্য থাকে, তবে কর্মপদ থাকে। আর ওই কর্মপদই কর্তার কাজ করে।

অর্থাৎ, যে বাক্যে কর্তা থাকে না, কর্মই কর্তার কাজ করে, তাকে কর্মকর্তৃবাচ্য বলে। যেমন-

কাজটা ভাল দেখায় না।- এখানে কর্তা নেই। কর্ম হল ‘কাজ’। কিন্তু ‘কাজ’ নিজেই কর্তার মত বাক্যকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এরকম-

বাঁশি বাজে এ মধুর লগনে।

সুতি কাপড় অনেক দিন টেকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন

  • কোন বাক্যটি ভাববাচ্যে রচিত? (ঘ-১৯৯৮-৯৯) আমার যাওয়া হবে না
  • ‘তুমি কবে আসবে?’ বাক্যটিকে ভাববাচ্যে রূপান্তর করলে দাঁড়াবে (ঘ-২০০৫-০৬)
  • কর্মবাচ্যের উদাহরণ (ঘ-২০০৮-০৯)ওকে খেতে ডেকে আন
  • ভাববাচ্য কোনটি? (ক-২০০৫-০৬) সাহেবের কোথায় থাকা হয়
  • ভাববাচ্যের উদাহরণ- (ক-২০০৯-১০) চোরটাকে ধরা গেল না।
  • ‘শিক্ষককে সকলেই সম্মান করে’- এটি কোন বাচ্যের উদাহরণ? (গ-২০০৯-১০)

আরো কিছু বাচ্য এর উদাহরণ:

এইচ.এস.সি বাংলা ২য়পত্রের সকল অধ্যায় / অন্যান্য অধ্যায়সমুহ দেখতে এখানে যান

   
   

0 responses on "এইচএসসি বাংলা ২য়পত্র ব্যাকরণ : বাচ্য"

Leave a Message

Address

151/7, level-4, Goodluck Center, (Opposite SIBL Foundation Hospital), Panthapath Signal, Green Road, Dhanmondi, Dhaka-1205.

Phone: 09639399399 / 01948858258


DMCA.com Protection Status

Certificate Code

সবশেষ ৫টি রিভিউ

eShikhon Community
top
© eShikhon.com 2015-2024. All Right Reserved